* তড়িৎ বিশ্লেষণ: আয়নিক পরিবাহীর মধ্যে তড়িৎ প্রবাহিত হওয়ার সময়ে আয়নিক যৌগের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। ফলে এটি বিশ্লেষিত হয়ে একাধিক নতুন পদার্থের পরিণত হয়। একে তড়িৎ বিশ্লেষণ বলে। তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতার উপর নির্ভর করে পদার্থ তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত- (1) সুপরিবাহী বা পরিবাহী (2) অর্ধপরিবাহী বা কুপরিবাহী (3) অপরিবাহী।
⇒তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতার উপর নির্ভর করে পদার্থকে প্রধানত তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথাঃ-
(১) সুপরিবাহী (২) কুপরিবাহী এবং (৩) অপরিবাহী।
তড়িৎ পরিবহনের পদ্ধতির উপর নির্ভর করে তড়িৎ পরিবাহীকে প্রধানত দু’টি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়:
(১) ইলেকট্রনীয় বা ধাতব পরিবাহী (তড়িৎ অবিশ্লেষ্য)
(২) ইলেকট্রোলাইটিক বা তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহী।
তড়িৎ অবিশ্লেষ্য বা ধাতব বা ইলেকট্রনীয় পরিবাহী
বৈশিষ্ট্য:
১. ইলেকট্রন দ্বারা বিদ্যুৎ পরিবাহিত হয়।
২. কোন রাসায়নিক পরিবর্তন হয় না।
৩. তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে তড়িৎ পরিবাহীতা হ্রাস পায়।
৪. ইহা ভৌত পদ্ধতি।
৫. ইলেক্ট্রন দ্রুত গতিতে চলে।
৬. তড়িৎ পরিবহন ও ইকেট্রনের চলার দিক পরস্পর বিপরীতমুখী।
৭. উদা: ধাতু ও গ্রাফাইট।
তড়িৎ বিশ্লেষ্য/ আয়নিক বৈশিষ্ট্য:
১. আয়নের দ্বারা বিদ্যুৎ পরিবাহিত হয়।
২. রাসায়ানিক পরিবর্তন হয়।
৩. তাপমাত্রার বৃদ্ধির সাথে পরিবাহিতা বৃদ্ধি পায়।
৪. রাসায়নিক পদ্ধতি
৫. আয়ন ধীর গতিতে চলে
৬. বিদ্যুৎ ও আয়নের চলার দিক একই
৭. ক) উদা: আয়োনিক বা পোলার সমযোজী যৌগ (গলিত বা দ্রবীভূত হতে হবে।) যেমন- ঘধঈষ দ্রবণ, লবণ, বা ক্ষার মিশ্রিত পানি।
খ) মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য: (আংশিকভাবে বিয়োজিত হয়) জৈব এসিড, মৃদু এসিড ও ক্ষার।
Leave a Reply