আর্নেস্ট রাদারফোর্ড (১৮৭১ – ১৯৩৭) ১৯১১ সালে আলফা কণা পরীক্ষার সাহায্যে নিউক্লিয়াস আবিষ্কার করেন।
পরমাণুর নিউক্লিয়াস প্রোটন ও নিউট্রন নিয়ে গঠিত। পরমাণুর সমস্ত ভর নিউক্লিয়াসে আছে বলে মনে করা হয়।
তিনি বলেন- সূর্যের মতো পরমাণুর নিউক্লিয়াস স্থির এবং সূর্যের চারদিকে গ্রহের মতো ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসেকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে।
রাদারফোর্ড পরমাণু মডেলঃ ⇒ রাদারফোর্ড কর্তৃক ১৯১১ সালে আলফা কণা বিচ্ছুরণ পরীক্ষার সিদ্ধান্তই রাদারফোর্ড পরমাণু মডেল নামে পরিচিত যা সৌরজগৎ গঠনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ বলে একে সৌর মডেলও বলা হয়।
⇒ এ মডেল অনুসারে পরমাণু প্রোটন, নিউট্রন ও ইলেকট্রন নিয়ে গঠিত। প্রোটন ও নিউট্রন নিউক্লিয়াসের কেন্দ্রে এবং ইলেকট্রন কেন্দ্রের চারদিকে নিউক্লিয়াসকে পরিবেষ্টন করে অবস্থান করে। নিউক্লিয়াসে পরমাণুর সমস্ত ধনাত্মক চার্জ ও প্রায় সমস্ত ভর কেন্দ্রীভূত। একে কেন্দ্র করে ঋণাত্মক চার্জযুক্ত ইলেকট্রন ঘূর্ণায়মান থাকায় পরমাণু বিদ্যুৎ নিরপেক্ষ।
⇒ধনাত্মক চার্জবিশিষ্ট নিউক্লিয়াস ও ঋণাত্মক চার্জবিশিষ্ট ইলেকট্রনসমূহ পারস্পরিক স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণজনিত কেন্দ্রমুখী বল এবং ঘূর্ণায়মান ইলেকট্রনের কেন্দ্র বহির্মুখী বল পরস্পর সমান।
⇒ রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল কক্ষপথের আকার ও আকৃতি, একাধিক ইলেকট্রনের ঘূর্ণন পদ্ধতি, পরমাণুর বর্ণালি গঠনের ব্যাখ্যা প্রদানে অক্ষম এবং ম্যাক্সওয়েলের মতবিরোধী।
Leave a Reply