1. shishirdatta99@gmail.com : Purbavas : Shishir Datta
ঊর্ধ্বপাতন,ব্যাপন ও নিঃসরণ কি? এদের মধ্যে পার্থক্য লিখো? - Purbavas.com
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন

ঊর্ধ্বপাতন,ব্যাপন ও নিঃসরণ কি? এদের মধ্যে পার্থক্য লিখো?

  • সর্বশেষ সংশোধিতঃ শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২০ দেখা হয়েছে

কণার গতিতত্ত্ব : সকল পদার্থই ক্ষুদ্রতম কণিকা দ্বারা তৈরি এবং তা কঠিন, তরল অথবা গ্যাসীয় এই তিন অবস্থার যেকোনো একটি অবস্থায় থাকে। সকল অবস্থায় পদার্থের কণাসমূহ গতিশীল থাকে।

আন্তঃআণবিক দূরত্ব : পদার্থ মাত্রই অনেক অণুর সমষ্টি। অণুগুলো একত্রে পাশাপাশি থাকে। পাশাপাশি থাকার কারণে এগুলোর মধ্যে কিছু ফাঁকা জায়গা থেকে যায়। দুটি অণুর মধ্যবর্তী এরূপ ফাঁকা জায়গা বা দূরত্বকে আন্তঃআণবিক দূরত্ব বলে।

আন্তঃআণবিক শক্তি : প্রত্যেক পদার্থের অণুসমূহ পরস্পরকে আকর্ষণ করে। এ আকর্ষণ শক্তিকে আন্তঃআণবিক শক্তি বলা হয়। আকর্ষণের পরিমাণ বস্তুর প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। কঠিন পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তি সবচেয়ে বেশি। এজন্যই অণুগুলো পরস্পরের খুব কাছাকাছি এবং দৃঢ়ভাবে অবস্থান করে। তাই নড়াচড়া করলেও স্থানান্তরিত হতে পারে না। তরল পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তি কঠিন পদার্থের তুলনায় কম। সেজন্য অণুগুলো কিছুটা দূরে অবস্থান করে এবং স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে। বায়বীয় পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তি সবচেয়ে কম। সেজন্যই অণুগুলো বেশ দূরে দূরে অবস্থান করে এবং কোনো আবদ্ধ পাত্রে না রাখলে তা চারদিকে মুক্তভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

ব্যাপন : কোনো মাধ্যমে কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় বস্তুর স্বতঃস্ফূর্ত ও সমভাবে পরিব্যাপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ব্যাপন বলে। ব্যাপন প্রক্রিয়ায়-
১. পদার্থের অণুগুলো বেশি ঘনত্বের স্থান থেকে কম ঘনত্বের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
২. ব্যাপন গ্যাসে-গ্যাসে, তরলে-তরলে, তরলে-গ্যাসে, কঠিনে-তরলে এবং কঠিনে-গ্যাসে ঘটতে পারে।
৩. সালোকসংশ্লেষণ ও শ্বসনের সময় প্রয়োজনীয় গ্যাসের আদান-প্রদান ব্যাপনের মাধ্যমে ঘটে।

নিঃসরণ : সরু ছিদ্র পথ দিয়ে কোনো গ্যাসের অণুসমূহের উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়াকে নিঃসরণ বলা হয়। উচ্চচাপের প্রভাবে এটি একটি গ্যাসীয় দ্রুত প্রক্রিয়া। এটি ছিদ্র পথে অর্থাৎ নিয়ন্ত্রিত পথে ঘটে।

দহন : কোনো পদার্থকে বাতাসে অক্সিজেনের উপস্থিতিতে পোড়ালে তাকে দহন বলে। সকল দহনেই তাপশক্তি নির্গত হয়। মোমের জ্বলন বা দহনের ফলে CO2(g)  ,  H2O (g) এবং এর সাথে আরও উৎপাদিত হয় তাপ ও আলো।

গলন : কোনো কঠিন পদার্থের তরলে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে গলন বলে। গলন চলাকালীন পদার্থের তাপমাত্রা স্থির থাকে।

গলনাংক : যে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো কঠিন পদার্থ গলে তরলে পরিণত হতে শুরু করে সেই নির্দিষ্ট তাপমাত্রাকে ওই কঠিন পদার্থের গলনাংক বলে। যেমন : 0°C তাপমাত্রায় বরফ গলে পানিতে পরিণত হয়। সুতরাং বরফের  গলনাংক 0°C ।

স্ফুটন : কোনো তরল পদার্থের বাষ্পে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে স্ফুটন বলে। স্ফুটন চলাকালীন অবস্থায় পদার্থের তাপমাত্রা স্থির থাকে।

স্ফুটনাংক : যে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো তরল ফুটতে থাকে এবং বাষ্পে পরিণত  হতে থাকে, সেই নির্দিষ্ট তাপমাত্রাকে ওই তরল পদার্থের স্ফুটনাংক বলে। যেমন : পানির স্ফুটনাংক ১০০ঈ। অর্থাৎ ১০০ঈ তাপমাত্রায় পানি ফুটতে থাকে এবং বাষ্পে পরিণত হয়।

সুপ্ততাপ : যখন কোনো পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন চলতে থাকে তখন পদার্থ যে তাপ গ্রহণ বা বর্জন করে তা ঐ পদার্থের তাপমাত্রার কোনো পরিবর্তন ঘটায় না। এই তাপকে সুপ্ততাপ বলে। সুপ্ততাপ গ্রহণ করে কঠিন পদার্থ তরলে ও তরল পদার্থ গ্যাসীয় পদার্থে এবং সুপ্ততাপ বর্জন করে গাসীয় পদার্থ তরলে ও তরল পদার্থ কঠিনে পরিণত হয়।

ঊর্ধ্বপাতন : যে প্রক্রিয়ায় কোনো কঠিন পদার্থ তাপের প্রভাবে তরল অবস্থাপ্রাপ্ত না হয়ে সরাসরি বাষ্পে রূপান্তরিত হয় এবং ঐ বাষ্পকে ঠাণ্ডা করলে সরাসরি ঐ কঠিন পদার্থই পাওয়া যায়, সেই প্রক্রিয়াকে ঊর্ধ্বপাতন বলা হয়। ন্যাপথালিন, আয়োডিন, কর্পূর, কঠিন CO2, অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড (নিশাদল) ইত্যাদি ঊর্ধ্বপাতনযোগ্য পদার্থ।

 

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো পোস্টঃ
© All rights reserved © 2024 Purbavas.com
Customized By BlogTheme