কোনো মৌলের সর্বশেষ প্রধান শক্তিস্তরের মোট ইলেকট্রন সংখ্যা সেই মৌলের যোজন ইলেকট্রন বা যোজ্যতা ইলেকট্রন।
- Li, Na, O, F এর যোজ্যতা ইলেকট্রন সংখ্যা যথাক্রমে 1, 1, 6 I 7|
- N I Ca এর যোজ্যতা ইলেকট্রন সংখ্যা যথাক্রমে 5 I 2
কোনো মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসের সর্বশেষ কক্ষপথে যত সংখ্যক ইলেকট্রন থাকে অথবা যত সংখ্যক বিজোড় ইলেকট্রন থাকে তাকে ঐ মৌলের যোজনী বা যোজ্যতা বলে।
- ধাতব মৌলের ক্ষেত্রে সর্বশেষ কক্ষপথের ইলেকট্রন সংখ্যা মৌলের যোজ্যতা নির্দেশ করে।
- অধাতব মৌলের ক্ষেত্রে সর্বশেষ কক্ষপথের বিজোড় ইলেকট্রন সংখ্যামৌলের যোজ্যতা নির্দেশ কর।
- মৌলের সর্বশেষ কক্ষপথের উপস্তরসমূহের মধ্যে ইলেকট্রন পুনর্বিন্যাসের কারণে বিজোড় ইলেকট্রন সংখ্যা পরিবর্তিত হয়। এই মৌলসমূহ পরিবর্তনশীল যোজ্যতা বা একাধিক যোজ্যতা প্রদর্শন করে।
- উচ্চ পারমাণবিক সংখ্যাবিশিষ্ট ধাতব মৌল পরিবর্তনশীল যোজ্যতা প্রদর্শন করে।
- যোজ্যতা মূলত কোনো মৌলের অন্য মৌলের সাথে যুক্ত হওয়ার সামর্থ্য বা ক্ষমতা।
- পর্যায় সারণির নিষ্ক্রিয় মৌলসমূহের যোজ্যতা শূন্য ধরা হয়।
যৌগমূলক হচ্ছে একাধিক মৌলের একাধিক পরমাণুর সমন্বয়ে গঠিত একটি পরমাণুগুচ্ছ যা একটি আয়নের ন্যায় আচরণ করে।
- যৌগমূলকসমূহকে আধানসহ লেখা হয়।
- এরা ধনাত্মক বা ঋণাত্মক আধানবিশিষ্ট হতে পারে।
- যৌগমূলকসমূহের আধানই তাদের যোজ্যতা
- প্রত্যেক যৌগের পৃথক সংকেত থাকে।
- সংকেত যৌগের অণুতে পরমাণু বা আয়নের অনুপাত প্রকাশ করে।
- আধানবিশিষ্ট আয়ন ও নিরপেক্ষ পরমাণু দ্বারা যৌগের অণু গঠিত হয়।
- ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আধানবিশিষ্ট আয়ন দ্বারা যৌগ গঠিত হলে যৌগের মোট আধান শূন্য হয়।
- ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়ন দ্বারা গঠিত যৌগের সংকেত লেখার সময় ধনাত্মক অংশ প্রথমে এবং ঋণাত্মক অংশ পরে লেখা হয়।
- দুটি নিরপেক্ষ পরমাণুর মাধ্যমে যৌগ গঠনের সময় সাধারণত পর্যায় সারণির বামপাশের মৌলকে প্রথমে লেখা হয়।
Leave a Reply